মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলায় স্ত্রীর মর্যাদা আদায়ে স্বামীর বাড়িতে অনশন করছে এক স্ত্রী। শ্রীমঙ্গল উপজেলার উত্তরসুর গ্রামের এক মেয়ের সাথে (ছদ্মনাম নাম বৃষ্টি) এক গানের অনুষ্ঠানে একই গ্রামের মধ্যপাড়ার প্রানকৃষ্ণ গোস্বামীর ছেলে কিশোর গোস্বামীর পরিচয় হয়।
পরিচয়ের পর থেকে দুজনের মোবাইল ফোনে নিয়মিত কথা হয়। এক সময় দুজনেই গভীর ভালবাসায় জড়িয়ে পড়ে। দীর্ঘদিন প্রেম করার পর গোস্বামী মন্দিরে গিয়ে যুবতীকে বিয়ে করার প্রস্তাব দেয়। প্রথমে মন্দিরে গিয়ে বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হলেও ছেলেটির চাপাচাপিতে স্থানীয় মন্দিরে গিয়ে সিঁদুর পরে বিয়ে করেন।
বিয়ের পর থেকে মেয়েটি নিজের বাড়িতে বসবাস করে আসছিল। কিছুদিন পর বিষয়টি জানাজানি হলে মেয়েটি ছেলেটিকে
স্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে বাড়িতে তোলার দাবি করেন। কিন্তু মেয়েটিকে স্ত্রীর মর্যাদা না দিয়ে স্বামী গোস্বামী বিভিন্ন টালবাহানা শুরু করে। টালবাহানার একপর্যায়ে ছেলেটি মেয়েটিকে বিয়ে করার কথা অস্বীকার করেন। অবশেষে স্ত্রীর মর্যাদার দাবিতে শুক্রবার সকাল থেকে স্বামীর বাড়িতে অনশন শুরু করেন ভুক্তভোগী মেয়েটি।
মেয়েটি জানায়, বিয়ের পর একপর্যায়ে তিনি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে কিশোর গোস্বামী তাকে শ্রীমঙ্গল কলেজ রোডস্থ
কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টার ইউরিন পরীক্ষা করায়, সেখানে তার নাম লিখায় মিস প্রিয়া। ইউরিন পরীক্ষায় পজিটিভ আসলে স্বামী কিশোর গোস্বামী সেটাকে কৌশলে নষ্ট করায়। ইতিমধ্যে বিষয়টি মিমাংসা করার জন্য কয়েকবার সালিশ বৈঠক ও হয়েছে।
কিন্তু সালিশ বৈঠকে বিচার না পেয়ে স্বামীর বাড়িতে অনশন শুরু করেছি যতক্ষণ মেনে না নেয়া হবে ততক্ষণ অনশন চালিয়ে যাব।
অনশনের খবর পেয়ে শ্রীমঙ্গল সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ভানুলাল রায় সহ শ্রীমঙ্গল থানার পুলিশ পরিদর্শক সোহেল রানা ঘটনাস্থলে যান।
অভিযুক্তের পিতা প্রানকৃষ্ণ গোস্বামী বলেন, আগামী ২-৩ দিনের মধ্যে আমার পুত্রবধু বৃষ্টিকে ঘরে তুলে নেয়া হবে। এরপর বৃষ্টি তার পিতার বাড়িতে ফিরে যান।
শ্রীমঙ্গল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুছ ছালেক জানান, মেয়েটি থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে। আমরা গুরুত্বসহকারে বিষয়টি দেখছি। এ ব্যাপারে যথাযথ আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।